কলকাতা: বেহালার চৌরাস্তায় এদিন ভোরবেলা যে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে তার জন্য জনতার রোষের মুখে পড়েছে পুলিশই। বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকারের মৃত্যুতে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ বাসিন্দারা পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন এবং আটক হয়েছে লরি চালকও। এদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বেহালার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর অভিযোগ, অন্য বেসরকারি স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক পুলিশ থাকে, তাদের স্কুলের সামনে থাকে না।
ঘটনার পর বড়িশা স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসতেই রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, পুলিশ যদি সচেতন থাকত, তা হলে তাদের বাচ্চাটাকে এইভাবে মারা যেতে হত না। অন্য বেসরকারি স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক পুলিশ থাকে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু তাদের স্কুলের সামনে কাউকে পাওয়া যায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় মানুষরা মিলিতভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা এবং বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তাদের এও দাবি, পুলিশ চাইলেই প্রথমে লরি চালককে ধরতে পারত কিন্তু ধরার চেষ্টা করেনি। কেউ কেউ আবার টাকা নিয়ে লরি চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ওই লরি চালককে আটক করেছে হাওড়া ট্র্যাফিক পুলিশ। তাঁকে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আজ ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ এর পরেই বাচ্চাটির মৃতদেহ রাস্তায় আটকে রেখেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় ডায়মন্ড হারবার রোডে। স্থানীয় উত্তেজিত মানুষ সরকারি বাসে ভাঙচুর চালায়, আগুন লাগিয়ে দেয় পুলিশের ভ্যানেও।