বলা হচ্ছে না অভিষেক দুর্নীতিতে যুক্ত, কিন্তু হতেও পারেন! বলছে ইডি

বলা হচ্ছে না অভিষেক দুর্নীতিতে যুক্ত, কিন্তু হতেও পারেন! বলছে ইডি

কলকাতা: তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে গিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। এই ইস্যুতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র মারফৎ তাঁর নাম ইডির নজরে এসেছে। আসলে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পাশাপাশি তারা এই নিয়োগ দুর্নীতিকে বিরল বলে ব্যাখ্যা করেছে। 

এদিন আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, তাঁকে গ্রেফতার করার বিষয় ছিল না। শুধু সমন করা হয়েছিল। একজন ব্যক্তি স্বাক্ষী হতে পারেন, আবার একজন স্বাক্ষী অভিযুক্তও হতে পারেন। সেটা তদন্তের পর জানা যায়। তাই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার প্রেক্ষিতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। ইডির কথায়, এই দুর্নীতি বিরলতম আর্থিক দুর্নীতি, তারই তদন্ত চলছে। এখনই বলা হচ্ছে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতিতে যুক্ত, কিন্তু হতেও পারেন! একই সঙ্গে তারা আদালতে এও জানিয়েছে, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এই দুর্নীতির মূল অভিযুক্ত। এই প্রেক্ষিতে ইডি আবার রাজ্যের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, সরকার নিজে চায় এই মামলা সিবিআই হাত থেকে নিয়ে রাজ্য পুলিশের হাতে দেওয়া হোক। কেন?

প্রসঙ্গত, ‘কালীঘাটের কাকু’ তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছে তাতে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সুজয়ের সংস্থা থেকে অভিষেকের সংস্থায় টাকা গিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এই চার্জশিটে। ইডির দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র মানিক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার কোন প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে তার তালিকা পাঠিয়েছিলেন। আবার অভিষেকের সংস্থাতেও তিনি টাকা সরবরাহ করতেন। ইডি জানিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তৎকালীন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার দফতরের পদস্থ কর্মী ছিলেন, তাঁর আর্থিক ব্যাপার দেখভাল করতেন। এই সূত্র থেকেই প্রথমবার অভিষেকের দিকে নজর যায় ইডির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − fourteen =