কলকাতা: বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যুতে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বেহালা। শুক্রবার বেহালার চৌরাস্তায় ওই ঘটনা নিয়ে এখনও ভীষণ ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দা সকলের অভিযোগের তীর পুলিশের দিকেই। গাফিলতি, বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গতকাল একাধিক গাড়ি ভাঙচুর হয়, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি পুলিশকে লক্ষ্য করে হয় ইটবৃষ্টিও। বেহালা কাণ্ডের পর এখন অত্যন্ত তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশ তথা লালবাজার। ইতিমধ্যেই সব থানাকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিশু মৃত্যুর পর বেহালার জনতার ক্ষোভের পর লালবাজার একাধিক নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতা পুলিশের সমস্ত ডিভিশন ও থানাতে নির্দেশিকা পাঠিয়ে তারা নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিটি থানাতে ওসি বা অতিরিক্ত ওসিকে থাকতে হবে। এছাড়া সমস্ত ইউনিটে সবসময় মোট বাহিনীর ২৫ শতাংশ উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। এমনকি রোজ এই উপস্থিতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এর পাশাপাশি মহিলাদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত মহিলা বাহিনী মোতায়েনেও জোর দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফে থেকে। এমনিতেই গতকালের ঘটনার পর আজ বেহালা চৌরাস্তায় কড়াকড়ি করেছে পুলিশ। ব্যারিকেড থেকে শুরু করে জেবরা ক্রসিংয়ের তৎপরতা রয়েছে। স্থানীয়দের আফশোশ, এই তৎপরতা পুলিশ যদি আগে দেখাতো।
বেহালা দুর্ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি লালবাজারের কাছেও রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। গতকাল এই ঘটনায় সকাল থেকেই অগ্নিগর্ভ হয় বেহালার চৌরাস্তা। মৃতদেহ রাস্তায় রেখেই বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস৷ পাল্টা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা৷