কলকাতা: লরির চাকায় পিষে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বেহালা চৌরাস্তায়। সেই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনার দায় পুলিশের ওপর চাপিয়ে তাদের দাবি, তারা বৈষম্য করে, রাস্তার নিরাপত্তা নিয়ে ভাবে না। নবান্নের তরফে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মনে করছেন, এই ‘পাপ’ সবার। শুধু পুলিশকে একা দোষ দিলে হবে না।
বেহালাকাণ্ড নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করে কুণাল ঘোষ লেখেন, ”বাচ্চাটার ছবিটার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। আমরা সবাই দায়ী। গোটা সিস্টেম দায়ী। আমরা একটা সার্বিক বিশৃঙ্খলায় অভ্যস্ত। একটা লরি বা দুজন পুলিশের দিকে আঙুল তুললে শেষ হবে না। এই পাপ আমাদের সবার।” শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় ঘাতক লরির চালক, খালাসি-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল অবশ্য এই ট্রাককে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে এই ট্রাক আটক করা হয়, গ্রেফতার করা হয় চালককে।
শিশু মৃত্যুর পর বেহালার জনতার ক্ষোভের পর লালবাজার একাধিক নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতা পুলিশের সমস্ত ডিভিশন ও থানাতে নির্দেশিকা পাঠিয়ে তারা নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিটি থানাতে ওসি বা অতিরিক্ত ওসিকে থাকতে হবে। এছাড়া সমস্ত ইউনিটে সবসময় মোট বাহিনীর ২৫ শতাংশ উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। এমনকি রোজ এই উপস্থিতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এর পাশাপাশি মহিলাদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত মহিলা বাহিনী মোতায়েনেও জোর দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফে থেকে।