কলকাতা: আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা AI নিয়ে সাধারণ মানুষের অধিকাংশের এখনও তেমন ধারনা হয়নি। বিজ্ঞানের আধুনিক প্রযুক্তি যে আগামী ভবিষ্যতে কী করতে পারে তার আন্দাজ এখনও কেউ কেউ পাচ্ছেন না। কিন্তু যারা এই সুবিধা ব্যবহার করার তারা ঠিক করে নিচ্ছেন এবং চাপে পড়ছে সেই সাধারণ মানুষই। এই যেমন কলকাতার এক কর্মী দাবি করেছেন যে তাঁর শেষ কয়েক মাসে ৯০ শতাংশ উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার সৌজন্যে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স।
আধুনিক বিজ্ঞানে এখন প্রায় সবকিছু সম্ভব। লেখা থেকে শুরু করে ছবি এডিট, গান বানানো, ছবি আঁকা, এমনকি একজনের শরীরে অন্যজনের মুখ বসানো কয়েক সেকেন্ডের কাজ। বর্তমানে ইন্টারনেটে এই ধরনের প্রায় হাজারো ওয়েবসাইট আছে যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স নিয়ে কাজ করে। সুতরাং অফিসের কাজও যে এর দ্বারা হয়ে যাবে তা অনুমান করতে খুব একটা বেশি সময় নেয়নি অনেক সংস্থাই। ঠিক এইভাবেই নিজের চাকরি প্রায় হারাতে বসেছেন কলকাতার এক মহিলা কর্মী। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, এক সংস্থায় কপি রাইটার হিসেবে কাজ করে তিনি মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতেন। এখন অন্তত ৯০ শতাংশ কাজ তার কাছে আর আসে না। AI, ChatGPT দিয়েই কাজ সেরে নিচ্ছে অফিস বলে দাবি তাঁর।
ওই মহিলা কর্মী জানিয়েছেন, তাঁর উপার্জনের ওপরই পরিবার নির্ভর করে। এখন কয়েক মাসের মধ্যে তাঁর কাজের এই বিরাট পরিবর্তন তাঁকে চিন্তার মধ্যে ফেলেছে। আগে যেমন সপ্তাহে সপ্তাহে নতুন নতুন কাজ ঢুকত তাঁর কাছে, এখন গোটা মাসে হ্যতো দুটি বা তিনটি প্রজেক্ট ঢোকে। বাকি সব কাজ সংস্থা করে নিচ্ছে AI দিয়ে। এমনই ধারণা তাঁর। তবে এমন ঘটনা শুধু তাঁর সঙ্গেই ঘটেনি। আরও এক স্টার্টআপ সংস্থা সম্প্রতি ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করে তাদের কাজ করে নিচ্ছে AI, ChatGPT দিয়েই। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইহই শুরু হয়েছে।