কলকাতা: ভাঙড়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে জয়ী প্রার্থীর বদলে ডাকা হল পরাজিত প্রার্থী৷ এই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে মেনে নিল রাজ্য৷ মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনটাই জানায় রাজ্য। ভাঙড়ের ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের বৈঠকে বিজয়ী আইএসএফ প্রার্থীকে ডাকার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷
আইএসএফ-এর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হেরে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁকে বোর্ড গঠনের জন্য ডেকে পাঠিয়েছ ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিডিও। অথচ তাদের দলের জয়ী প্রার্থীকে ডাকা হয়নি। ওই বিডিওর বিরুদ্ধে তদন্ত করার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন জয়ী আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দার।
২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের ভোগালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে আইএসএফের প্রার্থী ছিলেন বসিরুদ্দিন। গণনায় দেখা যায় তিনি ৫৯৫টি ভোট পেয়েছিলেন। ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী আখের আলি মোল্লা পান মাত্র ৩৮৭টি ভোট। আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিনকে জয়ী হিসাবে ঘোষণা করে তাঁকে জয়ীর শংসাপত্রও দেওয়া হয়। আগামী বুধবার দুপুর ১২টায় জয়ী সদস্যদের শপথগ্রহণ এবং বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। সেই মতো পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের জন্য ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিডিও গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮ জন সদস্যকে ডেকে পাঠান। আইএসএফের অভিযোগ, সেই ১৮ জন জয়ী প্রার্থীর তালাকিয় বসিরুদ্দিনের বদলে রয়েছে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আখেরের নাম।