কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট কেটে গেলেও তাকে কেন্দ্র করে যা মামলা তার সমাপ্তি ঘটছে না। প্রতিবার রাজনৈতিক চর্চায় থাকা নন্দীগ্রাম নিয়ে এখনও আলোচনা বর্তমান। কারণ বেশ কিছু মামলা। এখনও রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলা হচ্ছে বিরোধী শিবির থেকে। অভিযোগের নিশানায় আছে পুলিশও। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।
এদিন আদালতে এক মামলার শুনানিতে বিজেপি দাবি করে, নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীরা বোর্ড গঠনে যাতে হাজির থাকতে না পারেন তাই বেশ কাউকে পুরনো মামলায় পুলিশ তলব করছে। কোথাও আবার রাজ্যের শাসক দল জয়ী প্রার্থীদের নিজেদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। বুধবার সেখানে বোর্ড গঠন হওয়ার কথা। এই অবস্থায় আজ এই মামলার শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের ১ ব্লকে পাঁচটি পঞ্চায়েতে ১০ আগস্ট বোর্ড মিটিংয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের পৌঁছে দিতে হবে।
আসলে এখানে অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে, মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে বিজেপি জয়ী প্রার্থীদের পুলিশ তুলে নিয়ে বোর্ড গঠন আটকানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, দুষ্কৃতীরা বিজেপি জয়ীদের প্রার্থীদের বোর্ড মিটিংয় যোগ দেওয়া আটকাতে হুমকি দিচ্ছে। শুধু এখানেই নয়, রানাঘাট ১ ব্লক, হবিবপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলায় একইভাবে বোর্ড গঠনে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস আবার কোথাও নির্দল জয়ী প্রার্থীকে বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়া ঠেকাতে দুষ্কতিরা বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই এই অবস্থায় পুলিশ নিরাপত্তায় বোর্ড গঠন, আবার কোথাও বোর্ড গঠনে পর্যাপ্ত পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিতে মামলার আবেদন গ্রহণ করে আদালত।