কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হয়েছে। তার মধ্যে একটি জায়গা ছিল নন্দীগ্রাম। অন্য এলাকার থেকে তুলনামূলক কম উত্তেজনা এবার এখানে থাকলেও পরিস্থিতি যে ইতিবাচক ছিল তা নয়। আর এখানেই ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ভোটের গণনার দিন ৮০০-র বেশি ব্যালটে সই করেননি প্রিসাইডিং অফিসার। কিন্তু কেন এমন করেছেন তিনি? কলকাতা হাইকোর্টে এই প্রেক্ষিতে আজব যুক্তি খাঁড়া করেছেন ওই ব্যক্তি।
নন্দীগ্রাম ১-এর একটি বুথে সিপিএমে প্রার্থী গ্রাম পঞ্চায়েতে ছয় ভোটে জিতে যান। পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি জেতে প্রায় ৪৯৪ ভোটে। কিন্তু তৃণমুল প্রার্থী আদালতে মামলা করে জানান ৮৯৪ ব্যালট পেপারের পিছনে সই নেই প্রিসাইডিং অফিসারের। পরে দেখা যায় সত্যি কোনও সই বা স্ট্যাম্প নেই ব্যালট পেপারের পিছনে। কেন সই ছিল না, ওই প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে জানতে চান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রশ্ন করেন, ওনার পছন্দের ওপর কিছু নির্ভর ছিল কিনা বা উনি নিজের ডিউটি ঠিক জানেন কিনা। এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই প্রিসাইডিং অফিসার চাঞ্চল্যকর জবাব দিয়ে বলেন, নন্দীগ্রামের মতো ঝামেলার এলাকায় প্রথমবার প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ পড়ায় তিনি সই করতে পারেননি।
আদালতে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্য, সেদিন কেউ সমর্থন করেননি তাঁকে। টিম বা জনগন কেউ তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। তাই ব্যালটে সই করা সম্ভব হয়নি। তিনি এও জানান, দুপুর ২ টো পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ব্যালটে সই করতে পারলেও পরে আর পারেননি। প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি যেন এই যুক্তি ভালো করে শোনেন। এরপর এই ইস্যুতে হলফনামা তলব করেছেন বিচারপতি। আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে সেই রিপোর্ট দিতে হবে। আর এই মামলার রায়ের ওপরই জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। উল্লেখ্য, ওই প্রিসাইডিং অফিসারের নাম মদন মনোহর। তিনি হলদিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল ইন্সটিটিউটে অ্যাসিট্যান্ট প্রফেসার।