কলকাতা: ১২ দিন পর অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। স্ট্রেচারে করে বার করে আনা হল তাঁকে৷ আগে থেকেই তাঁর জন্য হাসপাতালের নীচে অপেক্ষা করছিল অ্যাম্বুলেন্স৷ সেখানে তোলা হয় তাঁকে৷ বুদ্ধবাবুর সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক এবং স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেও কড়া নজরদারিতেই রাখা হবে তাঁকে। উডল্যান্ড হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাড়ি যাওয়ার পথেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার বন্দোবস্ত রয়েছে। বুদ্ধবাবু বাড়ি পৌঁছনোর আগেই, পাম অ্যাভেনিউতে এক জন চিকিৎসক উপস্থিত থাকবেন। বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে৷ তবে রাতে ফের বাইপ্যাপ দেওয়া হবে। বর্ষীয়ান এই বাম নেতাকে আপাতত এক মাস হোম কেয়ার সাপোর্টে রাখা হবে বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মীরা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আপনারা আন্তরিক ভাবে প্রার্থনা করুন। শুভেচ্ছা জানান। উনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। বাড়িতেও যেন সুস্থ হয়ে থাকতে পারেন। এখনও ওঁকে কড়া নজরদারিতে রাখতে হবে।’’
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বাড়ি পাঠানোর আগে চিকিৎসকদের একটি দল এসে ঘুরে দেখে গিয়েছে তাঁর এক কামরার ঘর৷ মঙ্গলবার বেলায় পাম অ্যাভেনিউয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। চিকিৎসকরাই ঠিক করে দিয়ে এসেছেন, কোন জায়গায় বুদ্ধবাবুর বিছানা রাখা হবে, কোন জায়গায় থাকবে চিকিৎসার সরঞ্জাম৷ তাঁর আসার আগে ছোট্ট স্যাঁতস্যাঁতে ঘরখানি জীবাণুমুক্তও করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে রাখা হবে ‘কার্ডিয়াক মনিটর’ , যাতে অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা, রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন সব কিছুর যথাযথ মূল্যায়ন করা যায়। তাঁর জন্য একটি নতুন বাইপ্যাপের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারণ, আগের বাইপ্যাপটি সাড়ে তিন বছরের পুরনো। সেটি এখন আর ততটা কার্যকরী নয় বলেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।