কলকাতা: ডিআইজি সিআইডিকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে তাঁকে তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু কেন? আসলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির এক মামলায় তদন্তকারী আধিকারিকদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাদের সঙ্গে রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকেও তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়ে দেওয়া হবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
নিজের স্কুলেই ভুয়ো নিয়োগ পত্র বানিয়ে ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি আবার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মুর্শিদাবাদের এক স্কুলের এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করছে আদালতের নির্দেশে। কিন্তু এদিন এই সংক্রান্ত যে রিপোর্ট তারা আদালতে জমা দিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সেই কারণেই রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামীকালই এই মামলার শুনানি আছে।
এক চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করেছিলেন ওই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দাবি ছিল, বাবা প্রধান শিক্ষক হওয়ায় তিনি তাঁকে স্কুলের কর্মশিক্ষার চাকরি পাইয়ে দেন ভুয়ো নথি দ্বারা। ওই জেলার অন্য একটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষকের নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ২০১৯ সালে এই চাকরি হয় বলেই অভিযোগ। বিনা নিয়োগপত্রে গত ৩ বছর ধরে বেতনও পাচ্ছেন তিনি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদও জানিয়েছে যে, ওই ব্যক্তির নামে কোনও সুপারিশ হয়নি। মামলাকারীর দাবি, তাঁকে বঞ্চিত করে ওই চাকরি দেওয়া হয়েছে।