কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার সৌরভ চৌধুরী৷ পুলিশি তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন রাতে ফোন করে বাড়ির লোককে নিজের সমস্যার কথা জানাতে চেয়েছিলেন স্বপ্নদীপ৷ কিন্তু তাঁকে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হয়নি৷ ঘটনার রাতে স্বপ্নদীপের ফোনটিও কেড়ে নিয়েছিল তাঁর সিনিয়ররা৷ পরিবারের অভিযোগ, গোটা কাণ্ডের পিছনে ছিল সৌরভ৷ এমনটাই দাবি স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডুর।
তাঁর অভিযোগ, বারবার ফোন করা সত্ত্বেও তাঁর ছেলে ফোন তোলেননি। এর পর ওদিক থেকেও ফোন আসে। তাঁর দাবি, ‘‘ওকে (স্বপ্নদীপকে) সিনিয়র ছেলেরা ফোনে বলতে বলছিল, ‘বল ভাল আছিস’। কিন্তু ছেলে ফোনে আর্তনাদ করতে থাকে। ক্রমাগত বলে যাচ্ছিল, ‘মা, আমি ভাল নেই। আমাকে নিয়ে যাও। আমার অনেক কথা বলার আছে। ঠিক সেই সময়েই ফোনটি কেড়ে নেওয়া হয়।’’
স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার হোস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রামপ্রসাদ। এর পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন তথা মেন হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, সৌরভ-সহ হোস্টেলের বেশ কয়েক জন মিলে স্বপ্নদীপের উপর অত্যাচার করেছিল সেই রাতে। তার ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু হয়েছে। রামপ্রসাদের অভিযোগ, বুধবার রাতে হোস্টেলে র্যা গিং চলার সময় তাঁরা স্বপ্নদীপের মোবাইলে ফোন করেছিলেন। কিন্তু স্বপ্নদীপকে ফোন তুলতে দেওয়া হয়নি। ফোন সৌরভের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেও দাবি তাঁর। স্বপ্নদীপের মাও সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরা শুনতে পেয়েছিলেন ছেলেকে ফোনে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে। বার বার বলছিল, ‘মা আমায় বাঁচাও! আমি ভাল নেই। আমার অনেক কথা বলার আছে। যখনই সে বলে অনেক কথা বলার আছে, ঠিক তখনই সৌরভ ফোন কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ তাঁর।