কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য৷ সেই আবহেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে একটি পোস্ট করা হয়েছে৷ ওই পোস্টের প্রতিবাদেই এবার অনশনে বসলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সোমবার সকালে বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের মূল মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অনশন শুরু করেন তিনি। চলছে ধরনাও। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই অনশন কর্মসূচি চলবে বিকেল পর্যন্ত। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই ফেসবুক পোস্ট সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
ফেসবুকে ‘ভিবি কনফেশন’ নামে একটি গ্রুপে ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে শান্তিনিকেতন নিয়ে নয়া বিতর্ক শুরু হয়েছে। কী লেখা হয়েছে ওই পোস্টে? নিজেকে শান্তিনিকেতনের ছাত্রী বলে দাবি জানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, “এখানে পড়তে এসেছিলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু আর টিকতে পারছি না। শারীরিক এবং মানসিক দু’দিক দিয়েই নির্যাতনের শিকার হয়ে চলেছি। ভয়ে মুখ খুলতে পারি না। আজ বাধ্য হয়ে এখানেই লিখলাম। গ্র্যাজুয়েশনের সেকেন্ড ইয়ার থেকে শারীরিক ভাবে কয়েক জন পশুর ন্যায় শিক্ষকের শিকার আমি। কোনও দিন বলতে পারিনি। আজ বলতে বাধ্য হলাম। কারণ আর পারছি না। শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা আর বিশ্বভারতীতে পড়া আমার জীবনে যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।” ওই ছাত্রী আরও লিখেছেন, “বেশি দিন হয়তো টিকতে পারব না। মা, বাবা আর আমার এক ভাই আছে। এখনও যে বেঁচে আছি শুধু তাঁদের জন্যই। কিন্তু এই শারীরিক নির্যাতন আমায় শেষ করে দিয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অধ্যাপিকা মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তাঁর কথায়, এই ধরনের পোস্টের ফলে বিশ্বভারতীকে কলুষিত করা হয়েছে।