কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যুতে সৌরভ চৌধুরীর পর গ্রেফতার হয়েছে আরও দু’জন। এই মামলায় জুড়তে পারে পকসো আইনের ধারা। এর মধ্যেই আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। হস্টেলের একের পর এক ছাত্র ও কর্মীকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপকে জোর করে বিবস্ত্র করা হয়েছিল! ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীর কাছ থেকে তারা গেঞ্জি ও হাফ প্যান্ট উদ্ধারও করেছে। এবার সেগুলি মৃত ছাত্রেরই কিনা, সেটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতত যে গেঞ্জি এবং প্যান্ট উদ্ধার হয়েছে তা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। ধৃত সৌরভ চৌধুরী, মনতোষ মণ্ডল, দীপশেখর দত্তকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে। এদিকে হস্টেলের একাধিক নিরাপত্তারক্ষী এবং এক রাঁধুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, একই রকমভাবে হস্টেলের একাধিক ছাত্রকে র্যাগিং করা হত। র্যাগিং করে বিভিন ছবি বা ভিডিও মোবাইলে তৈরি করা হত। সেই ভিডিও পরে নিজেদের মধ্যে চালাচালি করত পড়ুয়ারা। এমনকি পরে এই ভিডিও দেখিয়ে অনেককে ব্ল্যাকমেল করা হত বলেও সন্দেহ করছে পুলিশ। বেশ কয়েকজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই বিষয়ে তথ্য মিলেছে।
এই মুহূর্তে এইসব ভিডিও বা ছবি পড়ুয়াদের ফোন বা ল্যাপটপ থেকে পাওয়ার চেষ্টা করছে লালবাজার। যদিও পুলিশ অনুমান, কারোর কাছে যদিও বা এইসব থেকে থাকে তা হয়তো তারা এতক্ষণে মুছে দিয়েছে ভয়ে পেয়ে। তবুও পুলিশ আশাবাদী কিছু অন্তত প্রমাণ পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই তারা এও জেনেছে, স্বপ্নদীপ সমকামী ছিল কিনা তা নিয়েই যত র্যাগিং শুরু হয়েছিল। ঘটনার দিন সিনিয়ররা জোর করে খুলে নিয়েছিল তার পরনে থাকা গেঞ্জি, প্যান্ট। পরে গামছা গায়ে জরানো হলেও তা খুলে নেয় কেউ। পুলিশের ধারণা, বিবস্ত্র অবস্থায় বাথরুমে ঢুকে পড়েছিল স্বপ্নদীপ। যে জায়গা থেকে লাফ দিয়েছে সে তা বাথরুমের কাছেই।