কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখন জোরকদমে চলছে তদন্ত। এই ঘটনায় নিয়ে গোটা রাজ্যে আলোচনা। কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার চারদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারকে দেখা যায়নি। অবশেষে চারদিন পর সোমবার তিনি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়েছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকেই কেঁদে ফেলেন তিনি। কিন্তু এতদিন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি তিনি, সেটাও জানান।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে কোনও উপাচার্য নেই। তাই রেজিস্ট্রারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গত চারদিন ধরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুও ক্যাম্পাসে ছিলেন না। তাহলে কোথায় ছিলেন তিনি। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই তাঁকে এই প্রশ্ন করে সংবাদমাধ্যম। সেই প্রশ্ন শুনে কেঁদে ফেলেন তিনি। জানান, অসুস্থ হয়ে মেডিক্যাল লিভ নিয়েছিলেন তাই গত চারদিন তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। তাই তিনি আসেননি বিশ্ববিদ্যালয়ে। একই সঙ্গে এও বলেন, এই ঘটনার কথা শুনে তিনি মর্মাহত হয়েছেন। কোনও মায়ের কোল এইভাবে খালি হবে তা তিনি কল্পনা করেননি। ঘটনায় ভীষণ ভেঙে পড়েছেন তিনি। পাশাপাশি এও জানান, এক অভ্যন্তরীণ কমিটি ঘটনার তদন্ত করছে, পুলিশও তদন্ত করছে। দোষীরা দ্রুত শাস্তি পাক, এটাই চাইছেন তিনি।
স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যুতে সৌরভ চৌধুরীর পর গ্রেফতার হয়েছে আরও দু’জন। এই মামলায় জুড়তে পারে পকসো আইনের ধারা। এর মধ্যেই আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। হস্টেলের একের পর এক ছাত্র ও কর্মীকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপকে জোর করে বিবস্ত্র করা হয়েছিল! ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীর কাছ থেকে তারা গেঞ্জি ও হাফ প্যান্ট উদ্ধারও করেছে।