‘গিনিপিগ হতে রাজি না’, দলকে অস্বস্তিতে ফেলে বিস্ফোরক মন্তব্য কৌস্তভের

‘গিনিপিগ হতে রাজি না’, দলকে অস্বস্তিতে ফেলে বিস্ফোরক মন্তব্য কৌস্তভের

কলকাতা: বাংলায় শূন্য হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। সাগরদীঘি উপনির্বাচনে জেতার পরেও সেই আসন ধরে রাখতে পারেনি তারা। সুতরাং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হাত শিবির যে চরম লড়াইয়ের সম্মুখীন হবে তা বলা যায়। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সমীকরণ আপাতত হল বঙ্গে কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি। রাজ্যে যতই টক্কর থাকুক না কেন, জাতীয় স্তরে কাঁধে কাঁধে রাখার শপথ নিয়েছে তারা। বিজেপিকে হারানোই যে মূল লক্ষ্য। কিন্তু বঙ্গ কংগ্রেস এই বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে বলে মনে হয় না। কারণ এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। 

‘বৃহত্তর স্বার্থে’ জাতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করেছে হাত শিবির। কিন্তু বাংলার হাত শিবির এই জিনিসটিকে ভালো ভাবে যে দেখছে না তা কৌস্তভ বাগচীর কথায় স্পষ্ট। তিনি নিজের ফেসবুকে পোস্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছেন, ”পুকুর, নদী বুঝিনা। দিল্লির স্বার্থে আর গিনিপিগ হতে রাজি না। তৃণমূল আমাদের চোখে চোর ছিল, আছে ও থাকবে। তৃণমূল আমাদের চোখে গণতন্ত্রের হত্যাকারী ছিল, আছে ও থাকবে।” তাহলে কি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে যে জোট গঠিত হয়েছে তা মানবে না বঙ্গ কংগ্রেসের একাংশ? বিষয়টি এখনও পরিষ্কার হচ্ছে না। তবে আঞ্চলিক স্তরে কংগ্রেস যে চাপে আছে তা ১০০ শতাংশ সত্যি। 

বাংলায় ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সফল তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচন হোক বা উপনির্বাচন কিংবা সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোট। অভিযোগ যতই থাকুক, তৃণমূলের ভালো ফল কিছুই আটকাতে পারেনি। এদিকে তৃণমূল ঢাক-ঢোল পিটিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইন্ডিয়ার ফর্মুলা অনুযায়ী, যে যেখানে শক্তিশালী সেই দল সেই রাজ্য এবং নির্দিষ্ট আসনে লড়বে। সে ক্ষেত্রে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৪২টি আসনে কোন দল কোথায় লড়বে তা ঠিক করার ক্ষেত্রে একমাত্র আছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =