কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বেহালায় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্য মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলে কার্যত সিপিএম আমলকে দুষলেন তিনি। একই সঙ্গে জানালেন, সব জায়গায় গেলেও কেন তিনি যাদবপুরে যেতে চান না। মমতার কথায়, ওই জায়গা এখন আতঙ্কপুর।
সোমবার বেহালার ম্যান্টনে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু প্রসঙ্গ কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ছাত্রের বাবার সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। তিনি তাঁকে জানান যে, তাঁর ছেলেকে অত্যাচার করে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মমতা দাবি করেন, যারা এই কাজ করেছে তারা মার্কসবাদী। কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করে। নেত্রী এও দাবি করেন, ছেলেটির হাতে একটা মাদুলি ছিল। ওরা ওটাও খুলতে বলে। ওটা যেন ওদের রেড ফোর্ড, নিজেদের জমিদারি! অভিযোগের সুরে মমতা জানান, ওখানে সিসিটিভি লাগাতে দেয় না, পুলিশ ঢুকতে দেয় না। যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর। অনেক জায়গায় গেলেও, যাদবপুরে তাই তিনি যেতে চান না।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আরও ছয় জন ছাত্রকে ডেকে পাঠানো হয়েছে থানায়। কিন্তু তার আগে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ডায়েরিতে যে চিঠি পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, সিনিয়রদের বয়ান ওই চিঠিতে লিখতে বাধ্য করা হয়েছিল মৃত ছাত্রকে। শুধু তাই নয়, তাতে জোর করে সইও করানো হয়। এমনকি মেরে ফেলা হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছিল স্বপ্নদীপ কুণ্ডুকে।