কলকাতা: ভারতীয় সেনার ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। ইতিমধ্যে তারা কলকাতা হাইকোর্টে নিজেদের রিপোর্টও পেশ করেছে। কিন্তু এরই মাঝে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল আদালতে। মামলাকারীর দাবি, ভুয়ো ডমিসিল সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকেই সেনা বাহিনীতে নিয়োগ পেয়ে যাচ্ছেন। তাই এই বিষয় নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
সিবিআই যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আধা সামরিক বাহিনীতে ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে বলে অনুমান করছে তারা। তবে সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনার প্রমাণ মেলেনি। সিবিআই রিপোর্টে জানিয়েছে, ডমিসাইল সার্টিফিকেট-সহ নানা ভুয়ো নথিপত্র ব্যবহার করে আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ হয়েছে। আর মামলাকারীর অভিযোগ এই ভিত্তিতেই। তাঁর দাবি, সেনা বাহিনীতে নিয়োগের জন্য যে ডমিসিল সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তা পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তা সরেজমিনে পরীক্ষা না করেই গ্রহণ করা হয়। যার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
মূলত অভিযোগ ওঠে, পাকিস্তানি নাগরিককে নিয়োগ করা হয়েছে ভারতীয় সেনায়। দুই পাকিস্তানি নাগরিক বারাকপুরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে কাজ করছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের হওয়ার পর তিনি প্রথমে সিআইডি এবং পরে সিবিআইকে প্রাথমিক তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। সেই রিপোর্টেই বলা হয়, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে এমন কিছু নিয়োগের হদিস পেয়েছে তারা।