কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর তদন্তে প্রতিপদে নয়া তথ্য সামনে আসছে। সম্প্রতি আরও গ্রেফতারি হয়েছে এবং একটি চিঠি সম্পর্কেও জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকি এও জানা গিয়েছে যে, মৃত ওই ছাত্রকে লাগাতার ভয় দেখানো হত এবং তাকে জোর করে বিবস্ত্র করে হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু এই ঘটনায় কি পকসো আইনে মামলা হবে? আপাতত এই বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের সিপি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেও খাতায় কলমে মৃত স্বপ্নদীপ কুণ্ডু প্রাপ্ত বয়স্ক ছিল না। অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স হয়নি তার। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন। তাই তারা এই ঘটনায় পকসো আইনের দাবি জানিয়েছে। সোমবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নে মুখ খুলে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপরেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আরও ছয় জন ছাত্রকে ডেকে পাঠানো হয়েছে থানায়।
এদিকে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ডায়েরিতে যে চিঠি পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, সিনিয়রদের বয়ান ওই চিঠিতে লিখতে বাধ্য করা হয়েছিল মৃত ছাত্রকে। শুধু তাই নয়, তাতে জোর করে সইও করানো হয়। এমনকি মেরে ফেলা হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছিল স্বপ্নদীপ কুণ্ডুকে। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, মৃত্যুর আগের দিন বা কিছু সময় আগেই জোর করে ওই ছাত্রকে দিয়ে ওই চিঠি লেখানো হয়েছিল। সেই চিঠি লেখানোর সময় গ্রেফতার হওয়া তিনজন সেখানে উপস্থিত ছিল।