লন্ডন: ব্রিটেন এখন ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির শিকার। এর জেরে সাধারণ মানুষ এখন অর্থনৈতিক সঙ্কটের শিকার। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের রেলকর্মীদের সংগঠন চলতি মাসের শেষাশেষি তিনদিনের রেল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সরকার রেলকর্মীদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে এখনও কোনও আগ্রহ দেখায়নি। ফলে জটিলতা ক্রমশই বাড়ছে।
ব্রিটেনের ঘোরতর অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এর জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিটেনের খেটে খাওয়া নাগরিকরা। মুদ্রাস্ফীতির হার এখন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষ এর ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত।
চলতি মাসের শেষাশেষি অর্থনৈতিক সঙ্কটে জেরবার ব্রিটেনে ব্যাপক আকারের আন্দোলন শুরু হতে চলেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে টানা তিনদিনব্যাপী ব্রিটেনের রেল কর্মীরা জাতীয় ধর্মঘটে সামিল হতে চলেছেন। ফলে দেশজুড়ে রেল পরিষেবায় অচলাবস্থা দেখা দিতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রেলকর্মীদের ইউনিয়ন ইতিমধ্যে ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। ফলে দুয়ে দুয়ে চারের অঙ্কের মতো ধরে নেওয়া যায়, অচলাবস্থার শিকার হবে ব্রিটেনের জনজীবন। ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে রেলকর্মীরা অনড় হলেও ব্রিটেন সরকার এখনও আগ্রহ দেখায়নি রেলকর্মীদের ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে্ সমাধানসূত্র খোঁজার ব্যাপারে। ফলে আলোচনার রাস্তা এপর্যন্ত না খোলায় জটিল আকার ধারণ করতে চলেছে গোটা পরিস্থিতি।
রেলকর্মীদের ইউনিয়নের নেতারা জানিয়েছেন, ৫০ হাজার রেলকর্মী আন্দোলনে সামিল হতে চলেছেন। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক আকার ধারণ করছে। তবে প্রশাসন এখনও এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ব্রিটেনের ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির কোপ পড়েছে রেলকর্মীদের ওপরে। জীবিকা বিপন্ন হলে স্বভাবতই জীবনধারণের সবক্ষেত্রে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রেলকর্মীদের সংগঠন আরএমটি জানিয়েছে, এই পরিস্থিতির প্রতিবাদেই জুন মাসের শেষাশেষি তিনদিনব্যাপী রেলকর্মীদের আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এখন ব্রিটেনে চলছে রেলকর্মীদের ধর্মঘটের স্বপক্ষে জোরদার প্রচারাভিযান। তবে ব্রিটেন সরকারের কোনও মুখপাত্র বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ব্রিটেনে এখন মুদ্রাস্ফীতির হার রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবেই এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। ব্রিটেনের রেলকর্মীদের সংগঠন আরএমটি ধর্মঘটের দিনক্ষণও ঘোষণা করেছে। সূত্রে্র খবর, তিনদিনের জাতীয় ধর্মঘট হবে জুন মাসের ২১, ২৩ এবং ২৫ তারিখ। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বরিস জনসনের সরকার আদৌ পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে কি? খুঁজে বের করা যাবে কিনা কোনও রফাসূত্রে সেও এখন জল্পনার বিষয়।
অন্যদিকে, ব্রিটেনে বিমান পরিবহন শিল্পেও এখনও অচলাবস্থা। বহু কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন। রেল পরিষেবায় লাগাতার তিনদিন ধর্মঘট হলে সাধারণ মানুষ যে বিপাকে পড়বেন তাও বলাবাহুল্য। বর্তমানে ব্রিটেনের মুদ্রাস্ফীতির হার গত ৪০ বছরের নিরিখে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ।