ছাত্র মৃত্যুর রাতেই যাদবপুর হস্টেলে বৈঠক! কারা ছিল

ছাত্র মৃত্যুর রাতেই যাদবপুর হস্টেলে বৈঠক! কারা ছিল

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিস্ফোরক তথ্য আসা থামছে না। সোমবার জানা গিয়েছিল, মৃত ওই ছাত্রকে লাগাতার ভয় দেখানো হত এবং তাকে জোর করে বিবস্ত্র করে হুমকিও দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ডায়েরিতে যে চিঠি পাওয়া গিয়েছে তাতে জোর করে সইও করানো হয় স্বপ্নদীপ কুণ্ডুকে। পুলিশের অনুমান, সে কিছু একটা পদক্ষেপ নেবে তা বুঝেই এই চিঠির ফন্দি আঁটা হয়েছিল। তবে এখন আরও বড় তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, পড়ুয়া মৃত্যুর রাতেই যাদবপুরের হস্টেলে এক বৈঠক হয়েছিল। তাতে কী নিয়ে আলোচনা, কারা ছিল, তা জানতেই উদ্যত পুলিশ। 

যাদবপুরের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ১৭ বছরের ওই পড়ুয়ার। এক প্রাক্তনী সহ তিন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তেই সর্বশেষে উঠে এসেছে এই বৈঠকের তথ্য। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওই ঘটনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টলে একাধিক জেনারল বডি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ ও বাকি দুই অভিযুক্তও উপস্থিত ছিল বলে ধারনা করছে পুলিশ। তবে আর কারা কারা ছিল তা জানতেই তদন্ত চলছে। তদন্তে এটাও উঠে এসেছে যে, ওই বৈঠকের কারণেই হস্টেলের গেট রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাইরে থেকে পুলিশ এলেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গেট বন্ধ রাখার বিষয়টি হস্টেল সুপার জানতেন কি না, সেই বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। 

আরও জানা গিয়েছে, মৃত স্বপ্নদীপ কুণ্ডু প্রাপ্ত বয়স্ক ছিল না। অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স হয়নি তার। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন। তাই তারা এই ঘটনায় পকসো আইনের দাবি জানিয়েছে। সোমবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নে মুখ খুলে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =