কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ধৃতদের মোবাইল ফোনগুলি পাঠানো হল ফরেন্সিক ল্যাবে। ওই তিনটি ফোনে কী কী থ্য লুকিয়ে রয়েছে, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে ধৃতদের বয়ানও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় যাদবপুরের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে৷ এর পর আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ তাঁরা হলেন, দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষ। আগামী ২২ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত যাদবপুর থানাতেই রাখা হয়েছে ধৃতেরা। সেখানেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্র এবং হস্টেলের আবাসিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে বয়ান পাওয়া গিয়েছে, মঙ্গলবার সেগুলিই মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কার কার বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে, কেউ বয়ান বদল করছেন কি না, সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ধৃত তিন ছাত্রের মোবাইল ফোনে কী তথ্য লুকিয়ে রয়েছে, তা উদ্ধারের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের মোবাইল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে ছাত্রমৃত্যু ঘটনার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টেই। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে তদন্ত অনেকটা অগ্রসর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।