কলকাতা: যাদবপুরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরই তাঁর বাবার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, তিনি তাঁর ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না ঠিকই, কিন্তু অপরাধীদের রেয়াত করা হবে না৷ এবার নিহত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে নদিয়ার হাঁসখালির বগুলা গ্রামে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন মমতা। দলীয় সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তৃণমূল ভবন থেকে রওনা দেবে পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল৷ ওই দলে রয়েছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজা৷ এছাড়াও রয়েছেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার এবং দলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
সন্তানহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা৷ শোকগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার বার্তাই পৌঁছে দেবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানাবেন, নিহত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে সর্বোত ভাবে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
হোস্টেলে বেপরোয়া ব়্যাগিংয়ের ফলেই যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। সোমবার সন্ধেয় বেহালায় প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে এই বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতির জন্য সরাসরি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকে দায়ী করে তিনি বলেন, “ছেলেটা একটা মাদুলি পরে ছিল বলে ওকে বলেছে ওটা খোল খোল। এটা রেড ফোর্ট (লাল দুর্গ)। এখানে মাদুলি পরা যাবে না। মানে ওদের জমিদারি। এমন অত্যাচার করছে যে জামা কাপড় পর্যন্ত খুলে নিচ্ছে। তার পর গামছা পরিয়ে দিচ্ছে। জানি না গামছা মনে হয় মৃত্যুর পর পরানো হয়েছিল।”
ওই পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে ব়্যাগিং-এর তত্ত্বও। তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।