কলকাতা: কলকাতা ও শহরতলিজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা৷ বিশেষ করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দক্ষিণ দমদম, পানিহাটি, নৈহাটি, বরানগর ও খড়দহ পুরসভার পরিস্থিতি৷ এই সব জায়গায় উর্ধ্বমুখী ডেঙ্গি আক্রান্তের গ্রাফ। কয়েক সপ্তাহ আগেও যে সংখ্যা ছিল ২৫, এখন তা বেড়ে হয়েছে শ’খানেক। রাজ্যের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ দমদম পৌরসভা। অষ্টম স্থানে পানিহাটি। তারপরে যথাক্রমে নৈহাটি, বরানগর, খড়দহ প্রভৃতি। তবে সকলকে ছাপিয়ে প্রথম স্থান দখল করেছে কলকাতা৷ তার পরেই রয়েছে বিধাননগর পৌরসভা। গত বছর দক্ষিণ দমদম, বরানগর, পানিহাটি এবং কামারহাটিতে ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল ডেঙ্গি পরিস্থিতি৷ এই বছরও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক স্তরে পৌঁছচ্ছে৷ তেমনটাই অনুমান প্রশাসনিক কর্তাদের৷ তবে তার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি পুরসভার চেয়ারম্যান, এক্সিকিউটিভ অফিসার, প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা৷ উপস্থিতি ছিলেন এই মহকুমার বড় দুটি হাসপাতাল সাগর দত্ত এবং বিএন বসুর সুপাররাও। হাসপাতালগুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসায় যাতে কোনও খামতি না থাকে, তার যথাযথ বন্দোবস্ত রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রত্যেকটি পুরসভাকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সে কাজ শুরু করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি পুরসভা, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
পুরসভাগুলির পক্ষ থেকে আবাসিকদের অনুরোধ করা হয়েছে বাড়িতে যাতে জমা জল না থাকে। কারণ সেখানেই থাকে মশার লার্ভা৷ এই মহকুমায় বহু বাড়িতেই জ্বরে ভুগছেন অনেকে। সেই জ্বর ভাইরাল না ডেঙ্গু তা নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে৷ স্কুল গুলিকেও ডেঙ্গুর জন্য প্রচার চালাতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করে তুলতে অনুরোধ করা হয়েছে।