কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে ডেকে পাঠাল লালবাজার৷ বুধবার দুপুর ৩টের সময় তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্য দিকে, আজই বিকেল ৫টায় রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছেন।
বুধবার গভীর রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচ থেকে নগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে। তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি৷ বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতে ওই ছাত্রের উপর অত্যাচার হয়েছিল বলেই অভিযোগ উঠেছে৷ উঠে এসেছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে এক সপ্তাহের মধ্যেই মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঁদের মধ্যে ২ জন প্রাক্তন ছাত্র। বাকিরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং মেন হস্টেলের আবাসিক। ছাত্রমৃত্যুর পরেই হোস্টেল ছাড়ে পালানো আরও দুই পড়ুয়াকে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থেকে আটক করে কলকাতা নিয়ে আসা হচ্ছে৷
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউজিসির র্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশাবলি কেন মান্য করা হয়নি, তার কারণও দর্শাতে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়কে শো-কজ করে জবাব চাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের র্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশিকা অমান্য করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়৷