কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে জামিন দিয়েছে আদালত। কিন্তু স্বস্তি পাননি তাঁর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্য। তাঁর জামিন না মেলায় এবার তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মায়ের জামিনের পরেই জামিনের আবেদন করেছেন তিনি। আগামী ৩০ আগস্ট এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
সম্প্রতি প্রাক্তন শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত জানিয়েছিল, তাঁর কাছ থেকে এমন কিছু পায়নি ইডি যে কারণে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে। এই প্রেক্ষিতেই শর্তসাপেক্ষে মানিকের স্ত্রীকে জামিন দিয়েছে আদালত। ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয়েছে। যদিও ইডি এই জামিনে খুশি হয়নি। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, শতরূপা ভট্টাচার্যের জামিনে তাদের তদন্তে অসুবিধা হবে। উনি স্বামী ও ছেলের সঙ্গে মিলে অপরাধ করেছেন। অর্থাৎ ভট্টাচার্য পরিবারকেই ইডি অপরাধী বলেই দাবি করেছে। সেই প্রেক্ষিতে এখন শৌভিক জামিন পান কিনা, সেটাই দেখার।
এর আগে মানিকের স্ত্রীর জামিনের ব্যাপারে ইডির দাবি ছিল, তিনি গৃহবধূ। রোজকার না থাকলেও, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা। অন্য এক মৃত ব্যক্তির সঙ্গেও তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে যে অ্যাকাউন্ট ব্যক্তির মৃত্যুর পর খোলা হয়েছিল। ইডি তাঁকে আবার ‘লেডি ম্যাকবেথ’ হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছে। তবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন ছিল, একজন সমনে হাজিরা দিলে জামিন দিয়ে তাঁর রেকর্ড রাখলেই চলে। কী এমন হল যেখানে রাতারাতি হেফাজতে দিতে হল? মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী বলে এই কাজ?