কলকাতা: যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। তার মৃত্যুর আগের কয়েক ঘণ্টা ঠিক কী হয়েছিল তা একটি রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে পুলিশ। কী ভাবে বারান্দা থেকে পড়ে গেল সে, কেনই বা পোশাক ছিল না তার গায়ে, ঘটনা কী ভাবে সংগঠিত হয়েছে, তার আন্দাজ পুলিশ করে ফেলেছে। ঘটনার দিন রাত ৯টা থেকে ১১টা ৪৫-এর মধ্যে কী কী ঘটেছিল, তা নিয়ে এখন বিস্তারিত আলোচনায় তদন্তকারী অফিসাররা।
র্যাগিং করেই ওই ছাত্রকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। এক অংশ এটিকে খুন বলেই দাবি করছে, অন্য অংশ বলছে, র্যাগিং করে এতই মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছিল যে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়, যা খুনের সমান। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ৯টার পর প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে চার তলায় ১০৪ নম্বর ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে অন্যদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরাও। এই সময়েই চিঠি লেখানো হয়েছিল তাকে দিয়ে। এছাড়া পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই সময়েই ছাত্রটিকে বিবস্ত্র করানো হয়েছিল। তবে সে নিজে পোশাক খুলেছিল নাকি জোর করে খোলা হয়েছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনও।
যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় প্রথমে তিনজন গ্রেফতার হওয়ার পর আরও ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ তাদের সকলকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ, ধৃতদের ১২ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে। অর্থাৎ সকলে আগামী ২৮ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকতে চলেছে। পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, আগে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের থেকেই বাকিদের নাম পেয়েছে তারা।