কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা সকলেই আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ তবে ধৃতদের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছে পুলিশ। কারোর সঙ্গে কারোর বক্তব্যে মিল নেই৷ প্রত্যেকে আলাদা আলাদা কথা বলছেন৷ এই ন’জনের মধ্যে সত্য বলছে কে? সেটা জানতেই এবার ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ এই ন’জন ছাড়াও এই ঘটনায় আরও কিছু পড়ুয়া যুক্ত থাকতে পারেন বলেও মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেই বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরীকে প্রথম গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার সকালে গ্রেফতার হন আরও দুই পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষ৷ তাঁদের জেরা করে উঠে আসে আরও কিছু নাম৷ বুধবার যাদবপুরকাণ্ডে ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার বাসিন্দা অসিত সর্দার, মন্দিরবাজারের সুমন নস্কর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা সপ্তক কামিল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। বাকিরা, জম্মুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা আসিফ আফজল আনসারি (চতুর্থ বর্ষ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অঙ্কন সরকার (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং)৷ এদিকে, ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে নেমে মেন হোস্টেল থেকে দু’টি ডায়েরিও উদ্ধার করা হয়েছে৷ জোড়া ডায়েরির উপর কড়া নজর পুলিশের।