কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করতেই ব্যস্ত। এদিকে এই আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের রাজনীতি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটের সভানেত্রী ঠিক করে ফেলা হয়েছে। তিনি আর কেউ নন, রাজন্যা হালদার। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বক্তৃতা দিয়ে যিনি আপাতত সকলের নজরে আছেন।
দলীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে খানিকটা ‘দুর্বল’ টিএমসিপি ইউনিট। তাই সেখানে নিজেদের মাটি আরও শক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে দল। এই মুহূর্তে যে ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই ঘটনার আবহে এমন এক সিদ্ধান্ত যে আগামী সময়ের জন্য সুবিধা দিতে পারে তা আন্দাজ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই অল্প বয়সী এক যুব নেত্রীকেই এই ইউনিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ছাত্র ভোটে যাতে সংসদের দখল নিতে পারে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বুধবার ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে টিএমসিপি।
গতকালই আবার যাদবপুর ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, আদালতের তত্ত্বাবধানে চললে তবেই বিচার পাওয়া যাবে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে চললে ফলাফল শূন্য হবে। পাশাপাশি যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যু কাণ্ডে অনেক তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের আড়াল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।