কলকাতা: এ রাজ্যেও এবার শিরোনাম কাড়ল বুলডোজার৷ শুরু হল বুলডোজার বিতণ্ডা৷ শুক্রবার উত্তর কলকাতার বড়তলা থানা এলাকায় বিডন স্ট্রিটে বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় পুরসভা৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুর অধিবেশন৷ বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি৷ তৃণমূল ও বিজেপির একাংশ কাউন্সিলরের তাণ্ডবে সরগরম হয়ে ওঠে কলকাতা পুরসভা। পরিস্থিতির জন্য একে অপরকে দুষেছে তাঁরা।
কলকাতা পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা স্থানীয় বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর বাড়ির একাংশে বুলডোজার চালিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুরসভা। যদিও পুরসভার বক্তব্য, বিজেপি নেতার বাড়িতে বুলডোজার চালানো হয়নি৷ শুধুমাত্র তাঁর বাড়ির বেআইনি অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শনিবার শুরু হয় দু’পক্ষের তরজা৷ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুর অধিবেশন৷ এক যোগে বিরোধিতায় সরব হন বিজেপির কাউন্সিলররা। এদিন, অধিবেশনের শেষের দিকে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষ৷ চেয়ারপার্সন মালা রায় তাঁকে জানান, পুর অধিবেশনে এই বিষয়ে আলোচনা করা যায় না। প্রয়োজনে তাঁরা যেন মেয়রের সঙ্গে কথা বলেন৷ সজল বলেন, মানবিকতার খাতিরে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে কোনও নাগরিকের বাড়ি ভেঙে দেওয়া যায় না। দয়া করে মানবিকতার খাতিরে বিষয়টি একটু দেখুন।’’ কিন্তু তিনি জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম বিজেপি কাউন্সিলরদের সঙ্গে চেম্বারে কথা বলবেন বলে জানান।
অধিবেশন শেষ হতেই বিজেপি কাউন্সিলর ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করে দেয়। সাংবাদিক বৈঠকের দশ মিনিটের মাথায় সেখানে আসেন তৃণমূল কাউন্সিলর মহেশ শর্মা। তিনি বলেন, কাউন্সিলর ক্লাব শুধুমাত্র কাউন্সিলরদের জন্য, সেখানে বিজেপির জেলা সভাপতি কী করে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন? এর পরেই শুরু হয় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি৷ পুরসভার চেয়ারপার্সেন মালা রায় বলেন, “পুরসভার মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিজেপি নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন না। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের অফিস নয়। আমরা সেকথা বলতে গেলে আমাদের ধাক্কাধাক্কি করেন বিজেপির নেতারা।”