কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মেয়ে এবং জামাইয়ের ফ্ল্যাটে ইডি হানা দিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। মূলত তিনটি জায়গার এই অভিযানের তালিকায় ছিল ভবানীপুর এবং নিউ আলিপুর। ভবানীপুরের লি রোডের যে আবাসনে ইডির হানা পড়েছে সেখানেই থাকেন সুজয়ের মেয়ে-জামাই। আর নিউ আলিপুরের যেখানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, সেটি একটি সংস্থার অফিস। ইডির ধারনা, এই অফিসের সঙ্গেও নিবিড় যোগ আছে ‘কালীঘাটের কাকু’র।
কোটি টাকা বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ আগেই উঠেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে। তাহলে কি এই নিয়োগ মামলায় তাঁর মেয়ে এবং জামাইও যুক্ত? বিষয়টি এখনই অস্বীকার করা যাবে না। কারণ ইডি নগর দায়রা আদালতে পেশ করা চার্জশিটে দাবি করেছিল, সুজয়কৃষ্ণের নির্দেশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কলকাতার ভবানীপুরে একটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল। সেই ফ্ল্যাট আর কারোর নয়, তাঁর মেয়ের স্বামী অর্থাৎ তাঁর জামাইয়ের।
এমনকি সুজয়ের বিরুদ্ধে ১২৬ পাতার চার্জশিটে এটাও বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটটি কিনতে জামাইকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। এই ঋণের সঙ্গে ওই সংস্থার যোগ রয়েছে। তাই ইডির দাবি, এই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে দুর্নীতির টাকাতেই। এই ইস্যুতে অন্য এক তৃতীয় ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি যিনি সুজয়কৃষ্ণের জামাইকে ঋণ পেতে সাহায্য করেছিলেন। যদিও তিনি সেই কথা আপাতত অস্বীকার করছেন।