ed
কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ধৃত অয়ন শীলের কাছ থেকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির নথি উদ্ধারের পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডি। তার প্রেক্ষিতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই নির্দেশই বহাল রেখেছিলেন। তবে রাজ্যের তরফে আবারও বিরোধিতা করে এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। সেখানেও অবশেষে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
প্রাথমিক পর্যায়ে যখন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য তখন এই ইস্যুতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে আবারও মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। তবে রাজ্যের তরফে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। এতদিন ধরে শীর্ষ আদালতের চূড়ান্ত রায় না আসায় ধন্দ বাড়ছিল মামলার সিবিআই তদন্ত নিয়ে। কিন্তু এখন সব স্পষ্ট। কারণ, পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির হদিশ পান তদন্তকারীরা। অভিযোগ ওঠে এক্ষেত্রেও টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে হাজার হাজার চাকরি। এরপরই আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অয়ন শীলের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির নথি উদ্ধার করে তদন্তকারীরা। এর পরপরই ইডির হাতে গ্রেফতার হন অয়ন। ২০১৪ সালের পর থেকে রাজ্যের এই পুরসভাগুলিতে কীভাবে নিয়োগ হয়েছে? কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে? কী পদ্ধতিতে প্রার্থী বাছাই হয়েছে? তদন্তে সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।