১১ বছরের অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাতের নির্দেশ, শারীরিক-মানসিক অবস্থা দেখে বিচার

১১ বছরের অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাতের নির্দেশ, শারীরিক-মানসিক অবস্থা দেখে বিচার

Court Ruling

কলকাতা: ১১ বছরের নাবালিকার গর্ভপাতে সম্মতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান, ওই নাবালিকার গর্ভপাত করাবে এসএসকেএম হাসপাতাল। তাদেরকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ইস্যুতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে। প্রথমে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। সেখানে পরিকাঠামো না থাকায় এসএসকেএম হাসপাতালে ওই নাবালিকাকে নিয়ে আসতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, তমলুক হাসপাতালই জানিয়েছিল যে, নাবালিকার শারীরিক এবং মানসিক দিক বিচার করে গর্ভপাতের প্রয়োজন। (Court Ruling)

ওই নাবালিকার তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কয়েক মাস আগে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি গণধর্ষণ করা হয় তাকে, ফলত সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিন্তু এত দিন জানতে পারেনি পরিবার। গত মাসে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা তা জানতে পারে। ১১ বছরের মেয়ে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা জানার পর তারা গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কিন্তু হাসপাতালে গেলে তাদের জানানো হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া এই গর্ভপাত সম্ভব নয়। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার।

গত বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিক্যাল অফিসার এবং তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাদের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। সোমবার এই ইস্যুতে অবশেষে সিদ্ধান্ত জানাল উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, কোনও মহিলা, নাবালিকা বা নাবালিকার পরিবার ২০ সপ্তাহ সময় পর্যন্ত গর্ভপাত করাতে চেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতিতে তা ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে ২৪ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − 1 =