Turmoil
কলকাতা: অনৈতিকভাবে শিক্ষক বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অভিযান করেছিল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি বা STEA। কিন্তু তাদের এই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। করুণাময়ীতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা দেখা যায় সংগঠনের স্মারকলিপি প্রদানকে কেন্দ্র করে। পুলিশি হস্তক্ষেপ ও ধ্বস্তাধস্তির ঘটনায় ব্যাপক উত্তাপ ছড়িয়েছে।
সোমবার সংগঠনের উদ্যোগে অনৈতিক শিক্ষক বদলির বিরুদ্ধে, অবিলম্বে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং বিকাশ ভবনের ডেপুটেশনের ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। তবে করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীরা জমায়েত হওয়ার পর মিছিল করে পর্ষদ সভাপতির কাছে ডেপুটেশন দিতে গেলে পুলিশ পথ আটকায় এবং ধস্তাধস্তি শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, অনৈতিকভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ১০ সি ধারার মাধ্যমে ৬০০-র বেশি শিক্ষককে কলকাতা-ব্যারাকপুর-হাওড়া থেকে দূর দূরান্তে বদলি করা হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়েরর পরও এরকম একটি বিচারাধীন বিষয়ে অন্যায়ভাবে অতি সক্রিয় পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এও জানানো হয়েছে, ২২ আগস্ট করুণাময়ীর নিবেদিতা ভবন থেকে বদলির নির্দেশ সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের। এরই প্রতিবাদে আজ মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ঘেরাওয়ের ডাক দেয়।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ বলেন, স্কুলগুলিতে শূন্য পদে নিয়োগ না করে, রাজ্য সরকার অনৈতিকভাবে ৬০৭ জনের বদলির নির্দেশিকা জারি করেছে। এই অনৈতিক বদলির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হলেও ডিভিশন বেঞ্চের রায় অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষকের মামলার শুনানির ভিত্তিতে সু-সামঞ্জস্য বদলির বিষয় ঠিক করার কথা। অথচ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনৈতিকভাবে ৭৭ জনের বদলির নির্দেশ দিয়েছে। এরই তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে সকলের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি করা হচ্ছে, নাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে তাঁদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ প্রতিম চট্টোপাধ্যায়। আজকের সংগঠনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ, সহ-সভাপতি আনন্দ কুমার বসু, পত্রিকা সম্পাদক শম্ভু মান্না, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার প্রমূখ। বিকাশ ভবনে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন এবং শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে ডেপুটেশনের নেতৃত্ব দেন সমিতির সভাপতি গৌতম মহান্তি, সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ, সহ-সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার দাস।