ju case
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সে প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরী। র্যাগিং ছাড়াও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু শুরু থেকেই সৌরভ দাবি করে আসছে যে সে নির্দোষ। আজ সরাসরি তার দাবি, তাকে অপরাধী সাজানো হচ্ছে। এদিন আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভ, মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে। আদালতে ঢোকার আগে এমনই দাবি করে সে।
যাদবপুরকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্তের বক্তব্য, ক্যাম্পাসে কোনও র্যাগিং হয়নি, ওই ছাত্র নিজেই হস্টেল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে কোনও অপরাধী নয় বরং তাকে অপরাধী সাজানো হচ্ছে। এর আগে রবিবার প্রিজন ভ্যান থেকে সৌরভ একই রকম দাবি করেছিল। এই প্রেক্ষিতে সে আদালতের কাছে ন্যায্য বিচারের দাবিও জানিয়েছে। যদিও বাকি দুই অভিযুক্ত মনোতোষ এবং দীপশেখর এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে এই নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে সৌরভ চৌধুরী নিয়ে একে একে যে তথ্য সামনে এসেছে তা কিছু উদ্বেগজনক। পুলিশ জানতে পেরেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সে ‘ত্রাস’ ছিল। নবাগতরা তাকে কার্যত ভয় পেত।
জানা গিয়েছে, সৌরভের সঙ্গে একাধিক বিশিষ্টের যোগাযোগ ছিল। এমনকি এই জন্য হস্টেলে নতুন ছাত্ররা আসার পর সৌরভকে তাঁদের বাবা বলে ডাকতে বাধ্য করা হত। সবচাইতে বড় কথা বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র তিন তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যাওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই সৌরভের নেতৃত্বে হস্টেলে সাধারণ বৈঠক অর্থাৎ জিবি বসে। সেখানে পুলিশকে কে কি বলবেন তা শিখিয়ে দেওয়া হয়।