ragging
কলকাতা: মারাত্মকভাবে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল প্রথম বর্ষের ছাত্র। শারীরিক, মানসিক অত্যাচারের জেরেই সে আত্মহত্যা করে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যু নিয়ে এই অভিযোগই করা হয়েছে। সেই নিয়ে তদন্তে ইতিমধ্যেই ১২ জন গ্রেফতার হয়েছে ঘটনায় এবং তৎপরতার সঙ্গে পুলিশি তদন্ত চলছে। শেষ কয়েকদিনে একাধিক বড় তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। তবে এবার তারা যা বলল তা বিস্ফোরক বটে। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্তরা সকলেই দাবি করেছে তারা নির্দোষ।
গত ৯ আগস্ট রাতে কী হয়েছিল? এই প্রশ্নের নিপুণ উত্তর খুঁজতে আপাতত ব্যস্ত পুলিশ। গ্রেফতারির পাশাপাশি তারা একাধিক পড়ুয়া এমনকি নিরাপত্তারক্ষী, রাঁধুনি সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই প্রেক্ষিতে এখন তাদের দাবি, ঘটনার রাতে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করানো হয়েছিল। তার পর তাঁকে বারান্দায় ওই অবস্থাতেই হাঁটানো হয়। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকেই ওই ছাত্র নীচে পড়ে যায়। পরের দিন ভোরে তার মৃত্যু হয়। এর আগে তদন্ত চলাকালীন হস্টেলের বারান্দার কোন থেকে নীল রঙের হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ওই পোশাক মৃত ছাত্রের বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া। তাই র্যাগিং যে হয়েছে তা কার্যত নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে আজ আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছে যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভ, মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে। আদালতে ঢোকার আগে সৌরভ ফের দাবি করে সে নির্দোষ। একই সঙ্গে আজ তার বড় দাবি, ক্যাম্পাসে কোনও র্যাগিং হয়নি, ওই ছাত্র নিজেই হস্টেল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে কোনও অপরাধী নয় বরং তাকে অপরাধী সাজানো হচ্ছে।