ভিন রাজ্যে ‘ভুতের ভয়’, নাবালকের খোঁজ পেতে আদালতে গিয়েছিল পরিবার

ভিন রাজ্যে ‘ভুতের ভয়’, নাবালকের খোঁজ পেতে আদালতে গিয়েছিল পরিবার

minor boy

কলকাতা: প্রতিবেশীর সঙ্গে পঞ্জাবের লুধিয়ানার কাপড়ের দোকানে কাজ করতে গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা ১৪ বছরের এক নাবালক। কিন্তু সেখান থেকেই সে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। লুধিয়ানা পুলিশ সেই নাবালকের খোঁজ না পাওয়ায় আর কোনও রাস্তা না দেখে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই নাবালকের পরিবার। একদিকে অর্থনৈতিক সঙ্কট, তারওপর নাবালক ছেলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় তারা নিরুপায় হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত স্বস্তি মিলেছে তাদের। 

১৪ বছরের ওই নাবালকের নাম গণেশ হালদার। সে প্রতিবেশী সুরজিৎ দাসের সঙ্গে লুধিয়ানার কাপড়ের দোকানে কাজ করতে গিয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বেশ কিছুদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে সুরজিৎ। কিন্তু ওই নাবালককে তার এক সহকর্মীর কাছে রেখে আসে। কিন্তু গত ৫ জুলাই ওই নাবালক হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় বলে খবর মেলে। বহু খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনও সন্ধান দিতে পারেনি লুধিয়ানা পুলিশ বলে অভিযোগ পরিবারের। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর তারা এও জানায়, ১৭ জুলাই দুই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও ভাবেই খোঁজ মেলেনি তাদের ছেলের। 

মঙ্গলবার মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকারের আইনজীবী দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেন। তিনি জানান, ওই নাবালক পারিবারিক অর্থ সঙ্কট কাটাতে ভিন রাজ্যে গিয়েছিল এবং সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। তিনি দাবি করেছেন, ‘ভূতের ভয়ে’ নাবালক সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তবে সব শেষে লুধিয়ানারই এক দম্পতি ওই নাবালকের খোঁজ পায় এবং তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তার থেকে সবকিছু জানে। এরপরে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই দম্পতিই তাকে নিয়ে আসে পরিবারের কাছে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − five =