Saurav
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। পুলিশি হেফাজতে থাকার পর আজ আবার তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারকের নির্দেশ, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবে সে। এও জানানো হয়েছে, তাকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ। এদিকে পুলিশের বড় দাবি, মৃত ছাত্রকে আলাদা করে চিহ্নিত করেই মারা হয়েছে।
এই মামলার গত শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ওই ছাত্রকে ‘খুন’ করা হয়েছে, যা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা। পাশাপাশি ধৃত সৌরভ চৌধুরীই হল ‘কিংপিন’, এমনও দাবি করা হয়। আজ আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করে ছাত্রকে মারা হয়েছে। যদিও এই দাবি মানতে চাননি সৌরভের আইনজীবী। তাঁর কথায়, এখনই এই দাবি করা যুক্তিসঙ্গত নয়। বরং তার পাল্টা দাবি, সৌরভ চৌধুরীকেই এই ঘটনায় ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করা হয়েছে। তিনি আগেও দাবি করেছিলেন, তাঁদের মক্কেলরা মানসিক হেনস্থার শিকার হয়েছে। তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সরকারি আইনজীবী এই বক্তব্যে সম্মতি জানাননি।
আপাতত যতদূর তদন্ত এগিয়েছে সেই তদন্তের প্রেক্ষিতে পুলিশের স্পষ্ট দাবি, গোটা ঘটনার ‘মাথা’ হল এই সৌরভ চৌধুরী। ছাত্র মৃত্যুর পর কী ভাবে বিষয়টি সাজানো হবে, কে কী বলবে, সবই সে ঠিক করে দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে তাকে বাঁচানোর জন্য রাতারাতি কী ভাবে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছিল, তা আদালতে তুলে ধরেছে পুলিশ।