ছাত্রমৃত্যুর নেপথ্যে র‍্যাগিং! কার্যত মানছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

ছাত্রমৃত্যুর নেপথ্যে র‍্যাগিং! কার্যত মানছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

Ragging

কলকাতা: পুলিশ আগেই আদালতে জানিয়েছে যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় র‍্যাগিংয়ের ‘প্রমাণ’ মিলেছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটিও কার্যত এই কথা মেনে নিচ্ছে। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর নেপথ্যে র‍্যাগিংয়ের ভূমিকা ছিল বলে মেনেছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকারী দলও। তাই সব রিপোর্টেই কার্যত এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আভ্যন্তরীন কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্যকে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রশাসনিক ব্যর্থতা থাকতে পারে এই ঘটনায়। এছাড়াও যে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে তার সঙ্গে র‍্যাগিং হয়েছিল বলেই অনুমান। যদিও কী ভাবে ওই ছাত্র পড়ে গিয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। কেউ তাকে ধাক্কা মেরেছিল নাকি সে নিজেই আত্মহত্যা করেছে তা পরিষ্কার হচ্ছে না এখনও। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন কমিটি এই ঘটনায় যে ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে তাদের মধ্যে অনেককেই দোষী বলে চিহ্নিত করেছে। তবে মূল অভিযুক্তরা এখনও নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করছে। 

এদিন আদালতে যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পরই ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নানা নির্দেশ দিয়েছিল সৌরভ। ‘জেইউএমএইচ’ নামে এই গ্রুপ আগেই তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে মাঝে মাঝে অ্যাক্টিভ থাকত সে। সরকারি আইনজীবীর দাবি, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করে ছাত্রকে মারা হয়েছে, ছাত্র মৃত্যুর পর সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচাতে অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − six =