abhishek banerjee
কলকাতা: গত রবিবার আমেরিকা থেকে চোখের চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এই ঘটনার খবরও নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে৷ ক্রমাগত সেই খবর সম্প্রচারিত হতে থাকে বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের পর্দায়৷ সোমবার ছাত্র পরিষদের মঞ্চ থেকে এই মিডিয়া ট্রায়লকে ব়্যাগিং বলে মন্তব্য করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ তিনি বলেন, “আমি আমেরিকায় চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সংবাদমাধ্যম এমন হাওয়া তুলল, যেন আমি পালিয়ে গিয়েছি। কিন্তু আমার পদবি মোদী নয়, চোক্সি নয়, মালিয়া নয় যে পালিয়ে যাব। আমার পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখে চোখ রেখে লড়াই করার দীক্ষা রয়েছে আমাদের”।
সংবাদমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে ভুলভাল খবর ছেপেছে বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তবে এই প্রথম অভিষেক প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেন যে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিটি তাঁর৷ অভিষেক বলেন, “আমি যেদিন এসেছি, তার পরের দিনই তল্লাশি করতে চলে গিয়েছে ইডি। আমার অফিসে গিয়ে কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করে চলে গিয়েছে। পর দিন ওরা ফিরে এসে বলতেই পারে এই ফাইলগুলো আমার কম্পিউটারেই ছিল। তার পর মিডিয়া ফের চিৎকার করতে শুরু করবে। এটা ব়্যাগিং নয়?”
অভিষেকের দফতরে তল্লাশির পর প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছিল ইডি। তাতে দাবি করা হয়েছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা সিইও। শুধু তা নয়, ওই বিবৃতিতে এও দাবি করা হয়েছিল যে, বেআইনি লেনদেন করার জন্য ওই কোম্পানি গঠন করা হয়েছিল। পরে ইডি সূত্রে এও দাবি করা হয় যে, পরামর্শ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা ঢুকেছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে।