দত্তপুকুর: বিস্ফোরণের ২৭ ঘণ্টা পর দত্তপুকুরের মোচপোলে বেআইনি বাজি কারখানার ধ্বংসস্তূপে পৌঁছল এনআই৷ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের লেখা চিঠির ভিত্তিতেই দত্তপুকুরে আসেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র অফিসাররা। রবিবার দুপুরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহকে চিঠি লিখেছিলেন সুকান্ত৷ তবে শুধু বিজেপি নয়৷ দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের পর থেকেই বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ এক জোটে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। সেই মতোই সোমবার দুপুর পৌঁনে দুটো নাগাদ অকুস্থলে পৌঁছয় টিন এনআইএ৷
এদিকে, দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে সোমবারই কলকাতা হাই কোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে যাতে সিবিআই ও এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার হয়, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার আবেদন জানানো হয়। মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবারই শুনানি৷
এদিন বিজেপি এবং সিপিএম এর পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের যোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে। রাজ্য পুলিশের হাতে তদন্তভার থাকলে তাঁরা তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। বিস্ফোরণ কাণ্ডের বহু তথ্যও নষ্ট করা হতে পারে।