mass e-mail
কলকাতা: রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় স্কুলগুলিতে অনেক সময় আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। স্থায়ী শিক্ষক চলে এলেই ছেঁটে ফেলা হয় তাঁদের। এতে সমস্যায় পড়েন আংশিক শিক্ষকরা৷ যা অমানবিকও বটে। বামফ্রন্ট আমল থেকেই আমাদের রাজ্যে এই ব্যবস্থা চলে আসছে। শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা চাকরি না পেয়ে আংশিক শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেন৷ এইসব আংশিক সময়ের শিক্ষকদের নিয়োগ করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি৷ স্কুল ফান্ড থেকেই তাদের সামান্য বেতন হয়৷ মাসিক ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়। গোটা রাজ্যে প্রায় সাত হাজার আংশিক সময়ে শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের দাবি, যে ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে আংশিক সময়ের অধ্যাপকদের স্থায়ীকরণ করা হয়েছে, পর্যাপ্ত বেতনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তেমনই বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকদেরও যেন ৬০ বছর পর্যন্ত কর্মজীবন নিশ্চিত করা হয় এবং বাঁচার মতো একটা বেতন কাঠামো তৈরি করা হয়৷
নিজেদের দাবি পূরণে বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সংগঠন পার্টটাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে আজ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে গণ ই-মেল কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘরিয়া জানান, ২০১৯ সাল থেকে বারবার তাঁরা বিভিন্ন জেলায় ডিআই, ডিএম, এমএলএ, এমপি, নেতা, মন্ত্রী, সভাধিপতি স্মারকলিপি দিয়েছি। বিকাশ ভবন, নবান্ন, রাজভবন, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে আবেদন/ডেপুটেশন দিয়েছেন। আরও একাধিক পন্থা নেওয়া হলেও কাজ হয়নি৷ তাই শিক্ষক দিবসের আগে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে ই-মেইল করে সমস্যার সমাধান করার জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা৷