ed
কলকাতা: ফ্ল্যাট বিক্রিকাণ্ডে প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে তলব করল ইডি৷ পাশাপাশি সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর রাকেশ সিংকেও তলব করা হয়েছে৷
নুসরত একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার অধিকর্তা ছিলেন। অভিযোগ, ২০১৪ সালে নুসরতের সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেয়। চুক্তি হয়েছিল বিনিময়ে ফ্ল্যাট দেবেন তিনি৷ কিন্তু, অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাট কেউ পাননি৷ কো-অপারেটিভ সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনার জন্য মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি গ্রাহকদের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছিল। এর পর প্রায় ৯ বছর কেটে গেলেও বিনিয়োগকারীরা কেউই ফ্ল্যাট হাতে পাননি। সেই সময় নুসরতের সংস্থা দাবি করেছিল, রাজারহাট হিডকোর কাছে এই ৪২৯ জনকে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তিন বছরের মধ্যেই ফ্ল্যাটগুলি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পালন না করায় তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ জানা যায়, মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে ওই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে যে টাকা গিয়েছিল, তা দিয়ে ওই কোম্পানির ডিরেক্টররা ব্যক্তিগত ফ্ল্যাট কেনেন। যার মধ্যে নুসরত জাহানও রয়েছেন। নুসরত নাকি ওই টাকায় পাম অ্যাভেনিউতে নিজের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনেন৷ ওই প্রতারণা মামলাতেই আগামী মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ইডি।
বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার অভিযোগ, এ বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। নুসরতের বিরুদ্ধে আদালতেও মামলা করা হয়। কিন্তু আদালতের শমন পেয়েও হাজিরা দেননি অভিনেত্রী সাংসদ৷ তাই শেষ পর্যন্ত প্রতারিতদের নিয়ে ইডি দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসেন শঙ্কুদেব। এর পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘প্রতারণার’ টাকা দিয়ে পাম অ্যাভিনিউতে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন নুসরত৷ সেখানে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি। নুসরত সাফ জানান, সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তিনি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। সেই ঋণ সুদ-সহ ফিরিয়েও দিয়েছেন।