cabinet
কলকাতা: বাংলার মন্ত্রিসভার রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। যে দফতরে ছিলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, তা তাঁর হাতছাড়া হল। বাবুলের জায়গায় এসেছেন ইন্দ্রনীল সেন। এছাড়া জানা গিয়েছে, দায়িত্ব বেড়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রদীপ মজুমদারের। এই বদলের পর পর্যটন দফতর থেকে বাবুল সুপ্রিয় সরে গিয়েছেন এবং দায়িত্বে এসেছেন ইন্দ্রনীল সেন। তবে বাবুল সুপ্রিয়ের হাতে এসেছে তথ্য প্রযুক্তি দফতর। অন্যদিকে, অচিরাচরিত শক্তি, পঞ্চায়েতের সঙ্গে সমবায় দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রদীপ মজুমদার। বন দফতরের সঙ্গে শিল্প পুনর্গঠন দফতরের দায়িত্বে এলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দায়িত্ব কমানো হয়েছে অরূপ রায়ের। তাঁর হাতছাড়া সমবায়, দায়িত্বে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ সফরের আগেই যে মন্ত্রিসভার রদবদল হবে তা স্পষ্ট হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই সফরের আগে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেল। আপাতত যা ইঙ্গিত তাতে দফতরবিহীন হয়ে থাকতে পারেন উত্তর দিনাজপুরের বিধায়ক গোলাম রব্বানির। এত দিন তাঁর হাতে ছিল খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। সেই দফতর পেয়েছেন অরূপ রায়। এখন চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি কী আসে সেটাই দেখার। তবে বাবুল সুপ্রিয়র দফতর ইন্দ্রনীল সেনের কাছে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন থেকে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ কিছুদিন আগেই এই দুই গায়ক-মন্ত্রীর মধ্যে মৌখিক উত্তাপ ছড়িয়েছিল। একে অপরকে কটাক্ষ করতেও শোনা গিয়েছিল। ঘটনা ঘটেছিল বিধানসভার অন্দরে। তারপরই এই বদল, জল্পনা বাড়িয়েছে। কিন্তু দুজনের মধ্যে ঠিক কী হয়েছিল?
সূত্রের খবর, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের ঠিক সামনেই সেই দুই মন্ত্রী খানিকটা প্রকাশ্যেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। বাবুলকে ইন্দ্রনীলের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি নাকি তাঁর দফতরের কাজ আটকে দিচ্ছেন। এইভাবে তিনি সরকারি কাজ আটকাতে পারেন না। এর পাল্টা দিয়ে ইন্দ্রনীল তাঁকে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে গিয়ে বলতে। যার উত্তরে বাবুল বলেন, তিনি বলেছেন, দরকার পড়লে আবার বলবেন।