privatization
কলকাতা: কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি সহ একাধিক কারণে সরকারি বাসের পরিষেবা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ধীরে ধীরে যেন রাস্তা থেকে উধাও হতে বসেছে এই বাসগুলি। স্বাভাবিকভাবেই এতে সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত চাপ পড়ছে বেসরকারি বাসগুলিতে এবং ভাড়া বৃদ্ধি নিয়েও আলাদা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সরকারি বাসগুলির বেসরকারিকরণের ভাবনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাতে সরকারি বাসগুলি অন্তত ডিপোতে পড়ে থাকবে না।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অলাভজনক সরকারি বাস রুটগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে এগিয়েছে নবান্ন। ট্রাম কোম্পানি, সিএসটিসি এবং ভূতল পরিবহণ (ডব্লুবিটিসি) নিগমের ১৯টি রুটের ৪০টি সরকারি বাসকে আপাতত এই জন্য বাছাই করা হয়েছে। সবথেকে বড় বিষয়, বেসরকারিকরণে টেন্ডার ডাকার পর প্রায় ৮টি সংস্থা এই বাসগুলিকে চালাতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এই প্রাথমিক বেসরকারিকরণ যদি সফল হয় তাহলে আগামী দিনে আরও বড় মাপের বেসরকারিকরণে যেতে পারে রাজ্য বলে ইঙ্গিত মিলেছে। বহু রুটে বাস চালিয়ে যে লোকসান হচ্ছে সরকারের, তা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
এই ক্ষেত্রে এখন একটাই বড় প্রশ্ন হল, বেসরকারিকরণ হলে বাসগুলির ভাড়া বাড়বে কিনা। এই মুহূর্তে যা খবর তাতে স্বস্তি থাকছে আমজনতার। কারণ যাত্রী স্বার্থ রক্ষার্থে সুনির্দিষ্ট শর্ত চাপানো হয়েছে পরিবহণ দফতরের তরফে। সরকারি বাসের হারেই ভাড়া আদায় করতে হবে বলে স্পষ্ট করা হয়েছে সংস্থাগুলিকে। এছাড়া বলা হয়েছে, মাসে ৩০ দিনের মধ্যে অন্তত ২৬ দিন বাসগুলিকে রাস্তায় নামাতে হবে। তার কম চললে প্রতি বাসে দিনপিছু ৫০০ টাকা করে জরিমানা। পাশাপাশি প্রতিমাসে সরকারের ঘরে সুনির্দিষ্ট টাকা বেসরকারি মালিকদের জমা করতে হবে।