Court
কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগ বিল সংক্রান্ত মামলায় বড় পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে আদালতের তরফে। শুধু তাই নয়, রাজভবনের তরফে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৬ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপাচার্য নিয়োগ বিল আটকে রেখেছেন এবং তাতে সই করছেন না বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই ভিত্তিতেই আদালতে মামলা দায়ের হয়। আবেদনকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যে তিনটে বিল পাঠানো হয়েছে তাতে সই করেননি তিনি। এদিকে উপাচার্য পদের সময়সীমা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ হয়ে আসছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাই সময় নষ্টের অভিযোগও উঠেছে। আদালতে জানানো হয়েছে, গত বছর ৭ জুন পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের (সংশোধন) বিল ২০২২ রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে। ওই বছর ১৫ জুন রাজ্যপালের কাছে ওই বিল পাঠানো হয়। কিন্তু ওই বিলে এখনও পর্যন্ত সই করেননি রাজ্যপাল।
এই প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) বিলের বিরুদ্ধে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিপর্বে রাজভবনের হলফনামা চেয়েছে। বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপাল জবাবদিহি করতে পারেন না, শোকজ হতে পারে না। কিন্তু যখন সাংবিধানিক সংকট থাকে তখন আদালত কি রাজ্যপালকে সিদ্ধান্ত নিতে বলতে পারে না? সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এদিকে রাজ্যপালের আইনজীবী দাবি করেছেন, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আবেদনকারী তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য। তবে বিচারপতির কথা, তারা রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ওয়াকিবহাল নন, সাংবিধানিক কাজ নিয়ে ওয়াকিবহাল।