job seeker
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে হইচইয়ের শেষ নেই। বিগত কয়েক মাস, বছর ধরেই এই ইস্যুতে নানা তথ্য সামনে বেরিয়ে এসেছে। তাবড় কিছু ব্যক্তিত্ব গ্রেফতার হয়েছেন, রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের ভুরিভুরি অভিযোগ নিয়ে আদালত ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে গোড়ায় গলদ যে আছে, তা মানতে সমস্যা নেই। প্রাথমিকের এক চাকরিপ্রার্থী আদালতেই ফেল করলেন। শব্দের ঠিক বানান বলতে ব্যর্থ হলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অনেক প্রশ্ন।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং এই প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেন। মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ ছিল, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে এই মামলার শুনানির সময় যে ঘটনা ঘটল তাকে কী ভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে তা নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবতেই হবে। ‘দুর্গা’ এবং ‘চাষ করি’ শব্দের বানান বলতে পারলেন না চাকরিপ্রার্থী!
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে আসা ওই চাকরিপ্রার্থীকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জিজ্ঞেস করেছিলেন, ”দুর্গা বানান কী, বলুন তো?” মামলাকারী কিছু চুপ থেকে উত্তর দেন, ‘দূর্গা’! এরপর ‘মাঠে চাষ করি’ বানান জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, ‘মাঠে চাস করি।’ প্রসঙ্গত, এই ইন্টারভিউ নেওয়ার আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই চাকরিপ্রার্থীর ১৬ মিনিট ১১ সেকেন্ডের চাকরির ইন্টারভিউ দেখেছিলেন। তারপরই নিজেই ইন্টারভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শেষে তাঁর স্পষ্ট পরামর্শ, ‘এই বিদ্যা নিয়ে পড়াতে যাবেন না।’ যিনি চাকরির জন্য আদালতে এসেছেন তাঁর কাছ থেকে এমন ভুল বানান শুনে আর সময় নষ্ট করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এই মামলা খারিজ করে দেন।
আসলে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন এই চাকরিপ্রার্থী। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ এনেছিলেন পরে। যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। ইতিমধ্যেই বহু চাকরিপ্রার্থী আছেন যারা এই একই দাবি তুলে বিক্ষোভে সামিল। এখনও তারা চাকরির অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু এই চাকরিপ্রার্থীর বিষয়টিই একদম আলাদা। তিনি বিচারপতির নেওয়া ‘ইন্টারভিউ’তেই ডাহা ফেল। তাই বিচারপতিও আর মামলাকারীকে তৃতীয় সুযোগ দেননি। সোজা খারিজ করে দেন মামলা।