cbi
কলকাতা: নিয়োগ কাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়ে সিবিআইকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুই পক্ষের মধ্যে কোনও ‘বোঝাপড়া’ হয়েছে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন তিনি। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের গতি নিয়েও ফের প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। কবে অন্যান্যদের জিজ্ঞসাবাদ করা হবে, তা জানতে চান তিনি। যদিও সিবিআইয়ের উত্তরে বিচারপতি সন্তুষ্ট নন।
মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এদিন দুপুর ২টোর মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। সিবিআই রিপোর্ট দিয়ে নিয়োগ মামলায় বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন নেতাদের নাম বলেছে আদালতে। সিবিআই স্পষ্ট জানিয়েছে, টাকা তোলার তালিকায় অনেক মন্ত্রীরা যুক্ত রয়েছে। এক্ষেত্রেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কবে অন্যান্যদের জিজ্ঞসাবাদ করা হবে? লোকসভা ভোটের পর? উত্তরে সিবিআই জানায়, অনেককেই জিজ্ঞসাবাদ করা হয়েছে। বাকিদেরও করা হবে। তবে কোর্টে সব কিছু বলা যাবে না। কোর্টের তত্তাবধানে তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু সিবিআই এটুকু জানিয়েছে, তাপস মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। যে টাকা অন্য ধৃত কুন্তল ঘোষের হাতে যেত। দাবি, তাপস মণ্ডল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে এই টাকা তুলেছিল।
যদিও প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে সেইভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। এর মূল কারণ, সিবিআই আদালতে জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত মানিককে পাঁচ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু আদালত দেখছে, সব বার সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়নি। দু’বার করা হলেও তিনবার রেকর্ডিং নেই। এমনকি, সিবিআইয়ের প্রশ্নের উত্তরে মানিক কী কী বলেছেন, সেখানে তাঁর বয়ানে কোনও স্বাক্ষরও নেই।