justice ganguly
কলকাতা: শেষ কয়েক মাসে বাংলায় নিয়োগ সংক্রান্ত যে যে ইস্যু নিয়ে সবথেকে বেশি চর্চা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল ববিতা সরকারের বিষয়টি। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কন্যার জায়গায় চাকরি পেলেও সেই চাকরি তাঁকে হারাতে হয়েছে। সে নিয়ে আলাদাভাবে বিস্তর জলঘোলা তো আছেই, তবে তাঁর জায়গায় চাকরি পাওয়া অনামিকা বিশ্বাসকে নিয়েও কম আলোচনা হয়নি। তবে সম্প্রতি জানা গেল, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও এখনও চাকরিই পাননি তিনি! পুলিশের ওপর এই ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী মারফত জানতে পারেন,পুলিশ ভেরিফিকেশনে আটকে রয়েছে অনামিকা বিশ্বাসের চাকরি। তাঁর পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য পুলিশি যাচাই না হওয়ায় ওই চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না। এই যুক্তি শুনেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানতে চান, ”কেন আটকে থাকবে? উনি কি সন্ত্রাসবাদী?” এরই সঙ্গে কোন থানা দায়িত্বে ছিল সেটাও জানেন তিনি। পর্ষদ জানিয়েছে, অনামিকা বিশ্বাস শিলিগুড়ির বাসিন্দা, তাই তাঁর নাম-ঠিকানা সংক্রান্ত পুলিশি যাচাইয়ের দায়িত্ব শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের। এর পরই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ।
মনে রাখতে হবে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার চাকরি পাওয়ার পর ববিতা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায়, ববিতার নিয়োগে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। তাঁর চাকরির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন অনামিকা বিশ্বাস। এর পরই ববিতার চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি। তাঁর চাকরি দেওয়া হয় অনামিকাকে।