প্রতারণাকাণ্ডে নুসরতের থেকে আরও কিছু নথি চাইল ইডি, ফের তলব অভিযুক্ত সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশকে

প্রতারণাকাণ্ডে নুসরতের থেকে আরও কিছু নথি চাইল ইডি, ফের তলব অভিযুক্ত সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশকে

a05319b23286fbf773191b6fffdce79e

কলকাতা: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানের কাছে আরও কিছু নথি চেয়ে পাঠাল এফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ যদিও তাঁকে সশরীরে আসতে বলা হয়নি৷ পাশাপাশি তলব করা হল ‘বিতর্কিত’ ‘সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ নামে ওই সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংকে৷ এর আগেও ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল রাকেশকে। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায়নি রাকেশকে৷ এই মামালয় ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা।

ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর রাকেশকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তার ঠিক পরের দিনই ডাকা হয়েছিল নুসরতকে। রাকেশ এবং নুসরত ছাড়াও এই ঘটনায় ডার পড়ে রূপলেখা মিত্র নামে আরও এক অভিনেত্রীর৷ নুসরতের এক দিন পরে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। নুসরত অবশ্য নির্দিষ্ট দিনেই ইডি দফতরে হাজিরা দেন৷ টানা সাড়ে ছ’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি৷ 

 অভিযোগ, ২০১৪ সালে নুসরতের সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেয়। চুক্তি হয়েছিল বিনিময়ে ফ্ল্যাট দেবেন তিনি৷ কিন্তু, অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাট কেউ পাননি৷ কো-অপারেটিভ সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনার জন্য মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি গ্রাহকদের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছিল। এর পর প্রায় ৯ বছর কেটে গেলেও বিনিয়োগকারীরা কেউই ফ্ল্যাট হাতে পাননি। সেই সময় নুসরতের সংস্থা দাবি করেছিল, রাজারহাট হিডকোর কাছে এই ৪২৯ জনকে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তিন বছরের মধ্যেই ফ্ল্যাটগুলি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পালন না করায় তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ জানা যায়, মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে ওই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে যে টাকা গিয়েছিল, তা দিয়ে ওই কোম্পানির ডিরেক্টররা ব্যক্তিগত ফ্ল্যাট কেনেন। যার মধ্যে নুসরত জাহানও রয়েছেন। নুসরত নাকি ওই টাকায় পাম অ্যাভেনিউতে নিজের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনেন৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *