baranagar
কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যপক দুর্নীতি হয়েছে৷ অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বিশাল এক চক্র৷ সেই দুর্নীতির শিকড় খুঁজতে নেমে সামনে আসে পুরসভা দুর্নীতিকাণ্ড৷ সেই মামলায় এবার মিলল ওএমআর শিট কারচুপির প্রমাণ। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মতো এখানেও ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বরাহনগর পুরসভার বিরুদ্ধে। সুমন চৌধুরী নামে এক চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১৯৷ কিন্তু মেধাতালিকায় তা বেড়ে হয়েছে ৩১। আর সেই মেধা তালিকায় সই রয়েছে পুরপ্রধানের।
রাজ্যের প্রায় ১৪টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে৷ এই মামলায় তদন্ত করতে সিবিআই ও ইডি৷ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পুরকর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে৷ জেরার মুখে পড়েছেন পুরসভাসভাগুলির আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরাও। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল বরানগর পুরসভায় ওএমআর কারচুপির অভিযোগ। ঠিক একই ভাবে ওএমআর শিটের নম্বর বদলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল শিক্ষাক্ষেত্রে৷
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ১২ অগাস্ট বরানগর পুরসভায় মজদুর পদের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষায় বসেছিলেন সুমন চৌধুরী নামে এক যুবক। ওএমআর শিটে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ১৯৷ সেই ওএমআর শিটে আবার সই রয়েছে অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের সিল ও তার আধিকারিকের৷ কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৩১। সেই তালিকায় আবার সই রয়েছে পুরপ্রধানের৷ পাশে এও উল্লেখ রয়েছে যে, চতিনি ওএমআর শিটে মাত্র ১৯ পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ওই সময় পর পর ২ বার বরানগর পুরসভার নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা। এবং ওই দুই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যারা চাকরি পেয়েছিলেন তাদের প্রায় সবাই ছিলেন মালদা বা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এদিকে, ওএমআর শিট প্রকাশ্যে আসতেই নিখঁজ বরানগর পুরসভার পুরপ্রধান অপর্ণা মৌলিক।